নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগরীর রূপাতলী ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হুমায়ুন সিকদারের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে একটি পরিবার। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য রাখেন হুমায়ুন কবির ও তার লোকেদের নির্যাতনের শিকার আহমেদ মোল্লা সড়কের ভুক্তোভোগী পরিবারের সদস্য মো. জাকির হোসেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ দিন যাবৎ রূপাতলী আহম্মেদ মোল্লা সড়কে চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিং, জুয়া ও মাদক ব্যবসার মত ঘটনার নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে রাকিব সিকদার ও মো. রাতুল সিকদার নামের দুই সহোদর। কিন্তু ভয়ে কেউ এদের অপকর্মের বিষয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। যারা প্রতিবাদ করছে তারাই অপমান, অবদস্ত এমনকি হুমকির শিকারও হতে হয়েছে অনেককে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘রাকিব ও রাতুলের চাচা হুমায়ুন সিকদার। যিনি এলাকায় ‘হুমা’ গ্রুপ নামে পরিচিত। হুামায়ুন কবির স্থানীয় এক কথিত নেতার পরিচয় দিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। আর ওই বাহিনীর সহযোগিতায় সে এলাকায় সকল ধরনের অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। হুমায়ুনের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি মামলা রয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী জাকির হোসেন বলেন, ‘কিছু দিন পূর্বে এদের অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারেক হাওলাদার ও তার পরিবারকে লাঞ্ছিত করে হুমায়ুন ও তার লোকেরা। একই ভাবে অপকর্মের প্রতিবাদ করে হুমকির শিকার হন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো, কামরুল ইসলাম। এমনকি ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই ব্যবসায়ীর নাকের উপরে আঘাত ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট করে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ৫ই জুন বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্র ধরে পুলিশ এলাকায় তদন্ত করতে গেলে হুমায়ুন ও তার ভাতিজাসহ তাদের সহযোগীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়। অথচ মামলা এবং প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বেড়ালেও হুমায়ুন বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে জাকির হোসেন দাবী করে বলেন, ‘আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। ধারণা করছি এই সংবাদ সম্মেলনের পরে সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের উপার আবারও হামলা এমনকি খুনও করতে দিধাবোধ করবে না। তার পরেও নিজেদের জীবন বাজী রেখেই আমাদের সন্তান এবং ভবিষ্যতের চিন্তা করে সংবাদ সম্মেলন করতে সাংবাদিকদের সামনে হাজির হয়েছি। এসময় ভয়ঙ্কর ওই বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনকালে মামলার বাদী ও এলাকার ভূক্তভোগী কামরুল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, হাফেজ ফজলুল হক, ফোরকান, রহিম খানসহ ২০-২০ জন উপস্থিত ছিলেন। এ প্রসঙ্গে কামরুল ইসলামের দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম চলছে। পাশাপাশি মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পুলিশ কাজ করছে। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের নাম ও অবস্থানসহ বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও দাবি পুলিশের এই কর্মকর্তারা।
Leave a Reply